Friday, September 24

নিয়ন্ত্রণে রাখা যাচ্ছে না শেয়ারবাজার

Alo (September 24, 2010)

ঘটনাটি ঈদের মাসখানেক আগের। রাজধানীর একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা প্রায় দুই মাস ধরে বেতন-ভাতা পাচ্ছিলেন না। এ নিয়ে অসন্তোষ দানা বাঁধতে শুরু করে তাঁদের মধ্যে। মালিক বারবারই কেবল এই বলে সান্ত্বনা দিচ্ছেলেন যে ঈদের আগেই তাঁদের বকেয়া বেতন-বোনাস একবারে দেওয়া হবে। শেষ পর্যন্ত দিয়েছিলেনও তাই। কিন্তু তার আগে তিনি বেতন-বোনাসের জন্য বরাদ্দ করা টাকা শেয়ারবাজারে খাটিয়ে তুলে নেন বাড়তি মুনাফা। কারখানার মালিক নিজেই ঘটনাটি বর্ণনা করেন পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে।
স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার লোভে পোশাক কারখানার এই মালিকের মতো এখন অনেকেই ঝুঁকছেন শেয়ারবাজারের দিকে। শিল্পপতি ও বড় ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে চাকরিজীবী, গৃহিণী, ছাত্রছাত্রীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের একটা বড় অংশের সঞ্চিত পুঁজি বিনিয়োগ হচ্ছে শেয়ারবাজারে। এর সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ তো রয়েছেই।
সব মিলিয়ে দেশের শেয়ারবাজারে নগদ অর্থের প্রবাহ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু সেই হারে বাড়েনি শেয়ারের সরবরাহ। ফলে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের দাম। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাজারে সক্রিয় একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র স্বল্প মূলধনের অপেক্ষাকৃত দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। এতে বাজারের ঝুঁকি যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে নতুন আসা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর আশঙ্কা।
বাজারের এই ঝুঁকি কমাতে এসইসি বিভিন্ন সময় বেশ কিছু উদ্যোগ নিলেও তা কাজে আসছে না, বরং এসইসির নেওয়া সিদ্ধান্তগুলো পড়েছে সমালোচনার মুখে। বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ, সংস্থাটির এসব সিদ্ধান্ত স্বল্প পুঁজির দুর্বল মৌলভিত্তির শেয়ারের দাম বাড়াতে সহায়তা করেছে। অন্তত বাজারের সাম্প্রতিক গতিপ্রকৃতি সেটাই প্রমাণ করে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সংস্থাটির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও এনেছেন তাঁরা।
এ নিয়ে খোদ এসইসির নির্বাহী কর্মকর্তাদের মধ্যেও রয়েছে তীব্র অসন্তোষ। তাঁদের বক্তব্য, বাজার নিয়ন্ত্রণে কমিশনের কোনো সিদ্ধান্তই তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া হয় না। অথচ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই তা বাজারে চলে যায়। আবার যেসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, বাজারে তার কী ধরনের প্রভাব পড়বে, তারও কোনো বিশ্লেষণ থাকে না। ফলে বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে আবার পরিবর্তন করতে হচ্ছে। আর এভাবে বারবার নীতি পরিবর্তনে এসইসির নির্দেশনাগুলো কার্যকারিতা হারাচ্ছে। আর এর বড় প্রমাণ হলো, এসইসির সাম্প্রতিক উদ্যোগগুলোর পরও বাজার স্থিতিশীল না হওয়া।
এসইসির ঘন ঘন নীতি পরিবর্তনের বিষয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়-সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠকেও আলোচনা হয়েছে। কমিটির মতে, এসইসির এ ভূমিকা বাজারকে অস্থির করে তুলতে পারে। তাই বাজার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন, পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সমন্বয়ে গঠিত পরামর্শক কমিটির সঙ্গে আলোচনা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
অবশ্য সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে এসইসিকে ঘন ঘন ডেকে নিয়ে পরামর্শ দেওয়ার বিষয়টি কতটুকু ঠিক হচ্ছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বাজার-সংশ্লিষ্ট অনেকেই। তাঁদের মতে, এ ধরনের কমিটিতে বিভিন্ন পক্ষের বিভিন্ন ধরনের স্বার্থ থাকে। তা ছাড়া এভাবে বিভিন্ন জায়গা থেকে দিকনির্দেশনা দেওয়ায় এসইসি স্বাধীনভাবে কাজ করার ক্ষমতা হারাচ্ছে।
বাজার পরিস্থিতি: দেশের প্রধান শেয়ারবাজার হিসেবে পরিচিত ডিএসইতে গত এক বছরে সাধারণ মূল্যসূচক বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। এক বছর আগে স্টক এক্সচেঞ্জটিতে সাধারণ মূল্যসূচক ছিল মাত্র তিন হাজার ৭৫ পয়েন্ট। এখন তা তিন হাজার ৮২৯ পয়েন্ট বেড়ে হয়েছে ছয় হাজার ৯০৪ পয়েন্ট। এ সময়ে বাজার মূলধন এক লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা বেড়ে তিন লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। ডিএসইর এই বাজার মূলধন তালিকাভুক্ত কোম্পানির পরিশোধিত মূলধনের চেয়ে ১৪ গুণের বেশি।
বাজারে বেশ কিছু নতুন কোম্পানির তালিকাভুক্তি মূলধন বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। তবে তার চেয়েও বড় ভূমিকা তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধি। গত এক বছরে কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম তার মৌলভিত্তিকে উপেক্ষা করে বেড়েছে দু-তিন গুণেরও বেশি। এ জন্য বাজারে অতিরিক্ত তারল্যপ্রবাহকেই দায়ী করেছে এসইসি। তাই তারল্যপ্রবাহ কমাতে ঋণ নিয়ন্ত্রণ করাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে সংস্থাটি।
তারল্যপ্রবাহ: দেশের শেয়ারবাজারে এ মুহূর্তে কী পরিমাণ তারল্যপ্রবাহ রয়েছে, তার সঠিক কোনো তথ্য নেই। তবে এসইসি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ ও ২০০৯ সালে দেশের ১১টি ব্যাংক ও তাদের মার্চেন্ট ব্যাংকিং বিভাগের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের মোট তিন হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। ২০০৮ সালে এসব প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণের মোট ছিল ৯৯২ কোটি টাকা, ২০০৯ সালে যা বেড়ে দাঁড়ায় দুই হাজার কোটি টাকার বেশি।
এ ছাড়া প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লিখিত সময়ে নিজস্ব পোর্টফোলিও বা পত্রকোষে বিনিয়োগ করেছে তিন হাজার টাকার মতো। কিন্তু বাজারে প্রকৃত বিনিয়োগ এর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি। আর এর বেশির ভাগই আসছে নতুন নতুন বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণের মাধ্যমে, যাঁদের বড় অংশই ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ করেন না।
ঋণ নিয়ন্ত্রণে এসইসির উদ্যোগ: বাজারে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কিছু দিন আগেও মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো থেকে ১:১ দশমিক ৫ হারে ঋণসুবিধা পেত। অর্থাৎ কোনো বিনিয়োগকারীর নিজের এক লাখ টাকা থাকলে তিনি অতিরিক্ত আরও দেড় লাখ টাকা বিনিয়োগ করতে পারতেন। কিন্তু তারল্যপ্রবাহ কমাতে এসইসি এই হার ১:১ করে দেয়। এতেও বাজারের লাগাম টেনে ধরা সম্ভব হয়নি। ফলে পরবর্তী সময়ে একজন বিনিয়োগকারী মার্চেন্ট বা ব্রোকারেজ হাউস থেকে সর্বোচ্চ ১০ কোটি টাকার বেশি ঋণসুবিধা পাবেন না বলে আদেশ জারি করে এসইসি।
কিন্তু সংস্থাটির এ সিদ্ধান্তে হিতে বিপরীত হয়। এ সময় বিনিয়োগকারীদের একটা বড় অংশই ঝুঁকে পড়েন ঋণসুবিধা-বহির্ভূত শেয়ারের দিকে। ফলে বাজারে দুর্বল মৌলভিত্তির স্বল্প মূলধনের শেয়ারের দাম আরও ব্যাপক হারে বাড়তে থাকে। বিপরীত দিকে কমতে থাকে ঋণসুবিধার আওতায় থাকা তুলনামূলক ভালো মৌলভিত্তির কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম।
কিন্তু এসইসি অতি মূল্যায়িত শেয়ারের মূল্য নিয়ন্ত্রণে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। এসব কোম্পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য আর্থিক সমন্বয়সুবিধা বা নেটিং ফ্যাসিলিটি বন্ধ করা হলেও কার্যত তা শেয়ারের সরবাহসংকট আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে অতি মূল্যায়িত শেয়ার আরও অতি মূল্যায়িত হচ্ছে। কিন্তু ঋণের আওতায় থাকা কোম্পানিগুলোর ঋণসুবিধা আবারও কমানো হয়েছে। এর অংশ হিসেবে সংস্থাটি ২০০৬ সালে প্রণীত একটি পুরোনো বিধান নতুন করে কার্যকর করার জন্য উদ্যোগী হয়। এ বিধানে মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলোকে তাদের গ্রাহকদের ঋণ দিতে গেলে নির্দিষ্ট সূত্র অনুসরণ করার কথা বলা হয়েছে। এ সূত্র অনুযায়ী, গ্রাহকদের শেয়ারের বাজারমূল্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির প্রকৃত সম্পদমূল্য (এনএভি) যোগ করে দুই দিয়ে ভাগ করে যে ফলাফল পাওয়া যাবে, তার সমানুপাতিক হারে ঋণ দিতে হবে। ঋণ ব্যবস্থাপনা, অর্থাৎ শেয়ারের মূল্যপতন ঘটলে বাধ্যতামূলক ঋণ সমন্বয়ের সময়ও এ সূত্র মেনে চলতে বলা হয়েছে।
কিন্তু মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসগুলো শুরু থেকেই এ নিয়মের বিরোধিতা করে এলেও এসইসি তা আমলে নেয়নি। বরং বলে দিয়েছে, যেসব গ্রাহকের এ নিয়মের অতিরিক্ত ঋণ নেওয়া রয়েছে, তাদের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা সমন্বয় করতে হবে। একই সঙ্গে ডিএসইকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রতি বৃহস্পতিবার এনএভি হিসাব করে কোন কোন কোম্পানি ঋণসুবিধা পাবে তা প্রকাশ করতে।
কিন্তু এ পদ্ধতিতে হিসাব করলে একেক কোম্পানি একেক ধরনের ঋণসুবিধা পাবে। তাই বিপত্তি দেখা দিয়েছে, একজন গ্রাহকের প্রকৃত ক্রয় ক্ষমতা কত হবে তা নিয়ে। শুধু তা-ই নয়, পদ্ধতিটি মেনে নির্ধারিত সময়ের আগে শেয়ার বিক্রি করে ঋণ সমন্বয় করতে গেলে অনেকেই আর্থিক ক্ষতির শিকার হবেন।
ঋণ নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা যখন চলছে, ঠিক সেই সময়ে মিউচুয়াল ফান্ডের জন্য ঋণসুবিধা বাড়ানোর বিষয়টিও আরেক দফা সমালোচনার মুখে ফেলে এসইসিকে।
এনএভি-পদ্ধতির সঙ্গে একমত নন এসইসির নির্বাহীরা: পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক-সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ তৈরি করার জন্য সম্প্রতি এসইসি সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালকদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করে। এ কমিটি সম্প্রতি কমিশনকে এনএভির পরিবর্তে কেবল শেয়ারের বাজারমূল্যের ভিত্তিতে ঋণসুবিধা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কমিটির মতে, এ পদ্ধতিতে পোর্টফোলিওর মূল্য নির্ধারণ মার্জিন রুলস, ১৯৯৯-এর মৌলিক ধারণার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমনকি এ ধরনের পদ্ধতি প্রয়োগের নজির পার্শ্ববর্তী কোনো দেশে দেখা যায় না।
তাঁরা বলেন, ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে এনএভি বিবেচনায় নেওয়ার কারণে বিভিন্ন কোম্পানি কারসাজির মাধ্যমে সম্পদের পুনর্মূল্যায়ন করতে উৎসাহিত হতে পারে। একই সঙ্গে এ কমিটি ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে মূল্য-আয় অনুপাতকেও (পিই) সম্পৃক্ত না করার সুপারিশ করেছে। কারণ এতে কোম্পানিগুলোর আয় ব্যবস্থাপনার প্রবণতা, অর্থাৎ প্রকৃত আয় বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেখানোর প্রবণতা বাড়বে। সম্প্রতি বাজারে এ ধরনের প্রবণতাও লক্ষ করা যাচ্ছে।
কিন্তু কমিশন নির্বাহী পরিচালকদের এ সুপারিশও গ্রহণ না করে আরেকটি আদেশ জারি করে। এতে শেয়ারের বিপরীতে ঋণ বিতরণের সময় কোম্পানির মূল ব্যবসার বাইরে অন্য কোনো আয়কে পিই গণনার সময় বিবেচনা না করার জন্য বলা হয়েছে। একইভাবে পুনর্মূল্যায়নের মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অতিরিক্ত মূল্যও ঋণ বিতরণের সময় হিসাবে নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দিয়েছে।
কিন্তু বাজার বিশ্লেষকেরাসহ এসইসির একাধিক নির্বাহী পরিচালক বলছেন, কমিশনের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশ হিসাব মানের (বিএএস) সঙ্গে সংঘর্ষপূর্ণ। কারণ, বিএএস অনুযায়ী প্রত্যেক কোম্পানির নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদনে শেয়ারপ্রতি আয় বা ইপিএস উল্লেখ করতে হয় এবং কোম্পানির সব ধরনের আয়কেই হিসাবে নেওয়া হয়। তাই ঋণ বিতরণের জন্য কোম্পানির কোনো আয়কেই বাধা দেওয়ার সুযোগ নেই।
বাজার নিয়ন্ত্রণে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ: অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির অভিযোগে ডিএসই সম্প্রতি এসইসির নির্দেশের বিভিন্ন কোম্পানির লেনদেন সাময়িকভাবে স্থগিত করে। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও পক্ষপাতিত্ব করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিনিয়োগকারীরা। তাঁদের দাবি, কোনো কোনো শেয়ারের দাম ২০-৩০ টাকা বাড়লেই লেনদেন স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। আবার কোনো কোম্পানির দাম দিনের পর দিন বাড়লেও এসইসি-ডিএসই নীরব থেকেছে।
যেমন তালিকাভুক্ত কোম্পানি সিএমসি কামালের শেয়ারের দাম এক বছর আগেও বিক্রি হতো ১৩০ টাকায়। মাত্র এক বছরের ব্যবধানে শেয়ারটির সর্বোচ্চ এক হাজার ২৬৮ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। কিন্তু এ নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে খুব বেশি তৎপর হতে দেখা যায়নি। এমনকি সম্প্রতি কোম্পানিটি অনুমোদন পাওয়ার আগেই একটি মূল্য সংবেদনশীল তথ্যে ১০০ টাকা অভিহিত মূল্যের শেয়ারকে ১০ টাকা হিসেবে উল্লেখ করলেও তার ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়নি। কোম্পানিটির অন্যতম উদ্যোক্তা অর্থ মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আ হ ম মোস্তাফা কামাল।
সংকট উত্তরণের পথ: বিশ্লেষকেরা বলছেন, বাজারকে স্থিতিশীল করতে হলে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে হবে। একই সঙ্গে কারসাজি চিহ্নিত করতে বাড়াতে হবে নজরদারি। এ জন্য এসইসিতে লোকবল বাড়ানোর ব্যাপারে সরকারকে পদক্ষেপ নিতে হবে।

No comments:

Post a Comment