Monday, October 4

বিভাগীয় শহরের বাইরে ব্রোকারেজ হাউজ নয়: এসইসি

Bangla (October 04, 2010)

বিভাগীয় শহরের বাইরে নতুন করে ব্রোকারেজ হাউসের শাখা খোলার অনুমতি দেবে না সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি)। এছাড়া দু’ বছরের বেশি সময় ধরে যেসব কোম্পানি ‘জেড’ ক্যাটাগরিতে রয়েছে তাদেরকে ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেটে পাঠানো হবে।

সোমবার সকালে এসইসির বাজার পর্যালোচনা কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।

কমিশনের বলছে, দেশের বিভিন্ন স্থানে ব্রোকারেজ হাউসের নতুন শাখা চালু হওয়ায় বিপুল সংখ্যক বিনিয়োগকারী শেয়ারবাজারে যুক্ত হয়েছেন। পুঁজিবাজার সম্পর্কে পূর্ব ধারণা ছাড়াই তারা কোম্পানির মৌলভিত্তি বা বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা না করেই শেয়ার কেনা-বেচায় অংশ নিচ্ছেন। অনেক শেয়ারের অতি মূল্যায়িতর ক্ষেত্রেও এ ধরনের বিনিয়োগকারীদের ভূমিকা অনেক বেশি। এ কারণে বর্তমান পরিস্থিতিতে বিভাগীয় শহরের বাইরে নতুন কোনো ব্রোকারেজ হাউস খোলার অনুমতি না দেওয়া হবে না।

সাতটি বিভাগীয় শহরসহ মোট ১৯টি জেলায় বিভিন্ন ব্রোকারেজ হাউজের শাখা রয়েছে।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে উৎপাদন বন্ধ ও লোকসানে থাকার কারণে ‘জেড’ ক্যাটাগরির অনেক কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিতে ব্যর্থ হয়েছে। অথচ এ ধরনের কোম্পানির শেয়ারের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় শেয়ারবাজারে অস্থিরতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে কমিশন মনে করে। এ কারণেই সভায় এসব কোম্পানিকে মূল বাজার থেকে তালিকাচ্যুত করে ওটিসিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

অনিয়মিত লেনদেন, লভ্যাংশ ঘোষণা না করা, উৎপাদনে না থাকাসহ দুর্বল মৌলভিত্তির মোট ৭৫টি কোম্পানিকে এ পর্যন্ত ওটিসি মার্কেটে পাঠানো হয়েছে। ২০০৯ সালের ৬ সেপ্টেম্বর এ মার্কেট চালু করা হয়। তবে এ মার্কেটে শেয়ার লেনদেন হয় না বললেই চলে।

এ ব্যাপারে এসইসি’র নির্বাহী পরিচালক ও কমিশনের মুখপাত্র আনোয়ারুল কবীর ভুঁইয়া বাংলানিউজকে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তারল্য (টাকার) প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে বলে এসইসি মনে করছে। বিশেষ করে নতুন বিনিয়োগকারীরা অনেক ক্ষেত্রেই বাজার পরিস্থিতি সম্পর্কে ভালোভাবে অবহিত না হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। এই পরিস্থিতিতে বিনিয়োগকারীদের ঝুঁকির মাত্রা কমানোর জন্যই কমিশন এসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

No comments:

Post a Comment