Sunday, October 10

ডিএসই ও সিএসইর সংবাদ সম্মেলন: শেয়ার সরবরাহ না বাড়ালে পুঁজিবাজারে বিপর্যয়ের আশঙ্কা

Bangla (October 09, 2010)

জরুরি ভিক্তিতে শেয়ারের সরবরাহ বাড়াতে না পারলে পুঁজিবাজারে বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে ডিএসই ও সিএসই সভাপতি। শেয়ার সংকটের কারণে পুঁজিবাজারে বিপর্যয় নেমে এলে এর দায় স্টক এক্সচেঞ্জ নেবে না বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলা হয়।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ডিএসইর সভাপতি মো. শাকিল রিজভী, সিএসইর সভাপতি ফকরুউদ্দিন আলী আহম্মেদ।

পুঁজিবাজারের শেয়ার অতিমূল্যায়িত রোধে দ্রুত সময়ে এর সরবরাহ বাড়াতে সরকারকে অনুরোধ জানানো হয়।

ডিএসই সভাপতি মো. শাকিল বিজভী বলেন, ‘গত ১৫/২০ দিন ধরে বাজারে যেভাবে শেয়ারের দাম বাড়ছে তাতে আমরা উদ্বিগ্ন। বাজারে যে শেয়ারের দাম ২০০ টাকা হওয়া উচিত তা ১৪০০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। বাজারে শেয়ারের সরবরাহ কম থাকার কারণে এটি হচ্ছে। তাই এই মুহূর্তে বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সরকারের হাতে থাকা বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার দ্রুত বাজারে নিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় শেয়ার সংকটের কারণে বাজারে বিপর্যয় নেমে এলে এর দায়িত্ব স্টক এক্সচেঞ্জ নেবে না।’

তিনি আরও  বলেন, ‘নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে বির্তকিত করে পুঁজিবাজার চলবে না। বাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে এসইসিকে আরও কঠোর হতে হবে।’

বিনিয়োগকারীদের অতিমূল্যায়িত শেয়ার না কেনার অনুরোধ করেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে সিএসই সভাপতি ফকরুউদ্দিন আলী আহম্মেদ বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর নির্দেশের পরও ২৬ কোম্পানির শেয়ার বাজারে আসছে না। বাজারে শেয়ার সংকটের কারণে বিপর্যয় নেমে এলে সরকারের সুনাম ক্ষুন্ন হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের নামে ১০ টাকার শেয়ারে কখনো কখনো অযৌক্তিকভাবে ৬০ টাকা প্রিমিয়াম নিয়ে শত শত কোটি টাকা বাজার থেকে হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এসব বিষয় নিয়ন্ত্রণে এসইসিকে আরও কঠোর হতে হবে।’

ওটিসি মার্কেটে শেয়ার লেনদেন সহজ করতে অনুরোধ জানান তিনি।

No comments:

Post a Comment