Tuesday, October 5

এইমস মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বোনাস ও রাইট শেয়ার নাকচ করে এসইসির সিদ্ধান্ত অবৈধ

sheershanews (october 05, 2010)

এইমস ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বোনাস ও রাইট শেয়ার ঘোষণার আবেদন নাকচ করে সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করেছে হাইকোর্ট। হাইকোর্টের রায়ের আলোকে এইমস ট্রাস্টি বোর্ডের বোনাস ও রাইট শেয়ারের প্রস্তাব পাঠানোর ১০ দিনের মধ্যে এসইসিকে তা অনুমোদনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার বিচারপতি মামনুন রহমান এবং বিচারপতি সৈয়দা আফসার জাহানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এ রায় দেন।
পুঁজিবাজারের ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী মো. আবুল হোসেনের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে শুনানি শেষে এ রায় দেন আদালত। রিট আবেদনকারীর পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ, ফজলে নূর তাপস এবং আবুল কালাম আজাদ। এসইসির পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এডভোকেট মাহমুদুল ইসলাম এবং প্রবীর কুমার নিয়োগী। 
চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি এইমস ফার্স্টের ট্রাস্টি কমিটি ২০০৭-০৮ এবং ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৭০ শতাংশ বোনাস এবং ১৩০ শতাংশ রাইট শেয়ার ইস্যুর ঘোষণা দেয়। নিয়ম অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত অনুমোদনের জন্য এসইসির কাছে আবেদন জানায় এইমস ফার্স্ট। পরের দিন এসইসি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত এইমসের লেনদেন স্থগিত করে দেয়। ৭ মার্চ এসইসি এইমসের আবেদন নাকচ করে লেনদেন পুনরায় শুরুর নির্দেশ দেয়। এসইসির এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একজন বিনিয়োগকারী রিট দায়ের করলে হাইকোর্ট ২৮ মার্চ এইমসের রাইট ও বোনাস ইস্যুর আবেদন বাতিল করে এসইসির সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। একইসাথে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের নতুন করে লভ্যাংশ ঘোষণার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। ২৯ মার্চ মিউচ্যুয়াল ফান্ডটি নিয়ে নতুন করে কারসাজির আশঙ্কায় অনির্দিষ্টকালের জন্য লেনদেন স্থগিত করে দেয় এসইসি। বিধি অনুযায়ী তালিকাভুক্ত সিকিউরিটিজের লেনদেন সর্বোচ্চ ২৮ দিন বন্ধ রাখার সুযোগ থাকলেও এসইসি এ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন একাধারে ৯৪ দিন বন্ধ রাখে। ৩০ জুন এসইসির এক  আদেশে এ ফান্ডের লেনদেন পুনরায় চালু হয়।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে এইমস ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করলে সে বছরের ২২ জুন এসইসি এ ফান্ডের বোনাস ঘোষণার আবেদন নাকচ করে দেয়। একইসাথে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালা ২০০১-এর ধারা সংশোধন করে মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডের বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু নিষিদ্ধ করে।
এইমসের বোনাস শেয়ারের আবেদন এসইসি কর্তৃক নাকচ হওয়ার পর তিন জন বিনিয়োগকারী হাইকোর্টে রিট দায়ের করলে ২০০৮ সালের ২৬ জুন এসইসির সংশোধনীর কার্যকারিতা স্থগিত করে আদালত। একই সাথে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সব মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ বিতরণ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ২০০৯ সালের ৮ নভেম্বর এ মামলার রায় দেয় আদালত। রায় অনুযায়ী ২০০৮ সালের ২২ জুনের আগে বাজারে থাকা মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো এসইসির অনুমোদনক্রমে বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করতে পারবে।
২০০৯ সালে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিষয়ে হাইকোর্টের রায় ঘোষণার পর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত অন্যান্য মেয়াদি মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো তাদের ইউনিট হোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এক্ষেত্রে এইমস ফার্স্ট  মিউচ্যুয়াল ফান্ডই শুধুমাত্র তার ইউনিট হোল্ডারদের জন্য বোনাস এবং রাইট শেয়ারের ঘোষণা দেয়।

No comments:

Post a Comment